ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বাবলু মারা গেছেন
এম. এ রনি | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬; আপডেট: ৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪২
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যাত্রাবাড়ি, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ অঞ্চলটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, রায়েরবাগে পুলিশ এবং বিগত সরকারের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন অনেকেই তেমনি আহত হয়েছে অসংখ্য। তার মধ্যে একজন বাবলু। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বাবলু মারা গেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ বাবলু মৃধা (৪৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন বাবলু। পটুয়াখালীর দশমিনার বাবলু মৃধা পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন রাজধানীর শনির আখড়ায়।
বাবলু সম্পর্কে তার ভাই মো. রুবেল জানান, বাবলুর বড় ছেলে আবু তালেব দনিয়া কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তার ছেলে প্রথম থেকেই আন্দোলনে সক্রীয় ছিল। গত ১৯ জুলাই রাতে আবু তালবকে খুঁজতে বের হন বাবলু। তখন পুলিশ এবং বিগত সরকারের সন্ত্রাসীরা এলোপাতারি গুলি করতে থাকে, গুলিবৃদ্ধ হয়ে একাধিক সাধারণ মানুষ স্পটেই নিহত হয়, সেই গোলাগুলিতে বাবলু যাত্রাবাড়ী লাকি কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পিঠে গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ বাবলুকে স্থানীয় জনগন সহযোগীতা ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢামেকে এক মাস চিকিৎসার পর তাকে বিজিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গত ২২ আগস্ট সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: