সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া: গর্বিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩২; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:১৫
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করতে পেরে সরকার গর্বিত। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক যুগ পর সেনাকুঞ্জের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে অংশ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে তার এই উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর বেগম খালেদা জিয়ার মতো একজন জাতীয় ব্যক্তিত্বকে এখানে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। এটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধার প্রতিফলন।”
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেশ জটিল। তবে অসুস্থতা উপেক্ষা করে বিশেষ এই অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ প্রশংসিত হয়েছে। ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হয়ে আপনি প্রমাণ করেছেন, জাতীয় ঐক্য ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আপনার অটল সমর্থন রয়েছে। আমরা আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
বেগম খালেদা জিয়ার এটি ছিল ২০১৮ সালের পর প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। সবশেষ তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার দীর্ঘ বিরতির পর এই উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ও কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিক, এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ছিল। সেখানে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে উঠে একটি জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এই উপস্থিতি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করতে পারে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ তার সরকারের সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতিফলন এবং তাদের প্রতি তার শ্রদ্ধার প্রকাশ। এদিন সেনাকুঞ্জে উপস্থিত সবাই সশস্ত্র বাহিনীর ত্যাগ ও অর্জনকে শ্রদ্ধা জানান।
বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ বিরতির পর এমন একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে একটি নতুন বার্তা পাঠাতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি তার রাজনৈতিক পুনরুত্থানের সম্ভাবনার ইঙ্গিত হতে পারে। তবে এর আসল প্রভাব কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: