ঢাকা রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৫টি কারণে হতে পারেন কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২৯; আপডেট: ৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩০

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন টানটান উত্তেজনায়। প্রেসিডেন্ট পদে কে বসবেন তা নির্ধারণে আগামীকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত ‘সুইং স্টেট’ অঙ্গরাজ্যগুলোতে।

এই নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের জয়ী হওয়ার সম্ভাব্য পাঁচটি কারণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কালবেলা অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

১. ট্রাম্পের বিকল্প হিসেবে কমলা হ্যারিস

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক ও মতভেদ প্রচুর। তার পক্ষে-বিপক্ষে জনগণ বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ট্রাম্পের ডানপন্থী নীতির কারণে দেশটিতে বিভাজন বৃদ্ধি পেয়েছে, আর ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে বাদ দিয়ে বাইডেনকে সমর্থন করেন সাত মিলিয়নের বেশি মার্কিনি। এদিকে, কমলা প্রচারণায় ট্রাম্পের 'ফ্যাসিস্ট' চরিত্র তুলে ধরে এবং গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানিয়ে ভোটারদের আকর্ষণ করছেন। কমলার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রকে 'নাটক ও সংঘাত' থেকে বের করে স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নেবে।

২. বাইডেনের বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা

বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমার পরও তার সরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সামনে নতুন সংকট তৈরি হয়। তবে দলটি ঐক্যবদ্ধভাবে কমলার পাশে এসে দাঁড়ায়। দ্রুত রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আসা সত্ত্বেও কমলা দলকে একীভূত করেন এবং দৃঢ় নেতৃত্বে আশাবাদ সঞ্চার করেন। তিনি বাইডেনের সমালোচনার বিষয়ে বিভিন্ন আক্রমণকে অপ্রয়োজনীয় বলেও অভিহিত করেন, যা তাকে দলীয়ভাবে আরো দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যায়।

৩. নারী অধিকার নিয়ে দৃঢ় অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সাম্প্রতিক এক রায়ে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। এই রায়ের পরে নারী ভোটাররা গর্ভপাতের অধিকারের প্রশ্নে উদ্বেগে রয়েছে। কমলা হ্যারিসের পক্ষে এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান থাকায় নারীদের বড় একটি অংশের সমর্থন লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি, যা নারী ভোটারদের কমলার পক্ষে দাঁড়াতে উৎসাহিত করছে।

৪. উচ্চশিক্ষিত ও প্রবীণ ভোটারদের সমর্থন

জরিপে দেখা গেছে, স্নাতকোত্তর বা বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটারদের মধ্যে কমলার জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের চেয়ে বেশি। এসব ভোটারের মধ্যেই ভোটদানের প্রবণতা বেশি। সেক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের জন্য এটি ইতিবাচক। জরিপ অনুযায়ী, যারা গত নির্বাচনে ভোট দেননি, তাদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থক সংখ্যা বেশি। তাই এবারের নির্বাচনে সেই ভোটারদের অংশগ্রহণ কি ট্রাম্পের পক্ষে হবে, এ নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গেছে।

৫. তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে কমলা

মার্কিন নির্বাচনে অর্থ ব্যয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় দেড় বছর আগে থেকে তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন, কমলা হ্যারিস গত জুলাইয়ে প্রার্থী হওয়ার পর তুলনামূলকভাবে দ্রুত তহবিল সংগ্রহের দিক থেকে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন। নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের ব্যয়েও কমলা ট্রাম্পের তুলনায় দ্বিগুণ ব্যয় করেছেন। অর্থ সংগ্রহের এই প্রভাব ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top