শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৯; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০২
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন, যার লক্ষ্য দেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানো। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে চলমান কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন এবং জানান, শ্রমখাত উন্নয়নে তার সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, "শ্রম ইস্যুটি আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি এবং আমরা শ্রমজীবী মানুষের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছি।"
এ সময় থেরেসা মে বাংলাদেশের শ্রম উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং মানব পাচার ও অভিবাসন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী বলে জানান। অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপে নিরাপদ ও আইনি উপায়ে অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার বিষয়ে আহ্বান জানান, যা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিয়মিত অভিবাসন রোধে কার্যকরী হবে। এছাড়া তিনি মানব পাচার প্রতিরোধে আইনি অভিবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের তরুণদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস থেরেসা মে’কে সাম্প্রতিক বিপ্লবের সময় আঁকা ‘আート অফ ট্রায়াম্ফ’ বইটি উপহার দেন, যেখানে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরালের চিত্র রয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, এবং তুরস্ক ও আজারবাইজানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আনামুল হক। তাদের উপস্থিতিতে শ্রম খাতের সংস্কারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের সরকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শ্রম সংস্কারে বদ্ধপরিকর, যা শুধুমাত্র বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: