ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য অন্যতম দায়ী নির্বাচন কমিশন: রিজভী

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৫; আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০৫

বিগত সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার দায় অবৈধ নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না। বিগত তিন নির্বাচনকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। যেখানে সবার অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনরত ছিল দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলগুলো, সেখানে নির্বাচন কমিশন তাদের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। তারা কি আসলেই নিরপেক্ষ ছিল কি না? না কি বিগত সরকারের হুকুম পালনে ব্যতিব্যস্ত ছিল।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করায় যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।’

বৃহস্পতবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এক ভয়াবহ দানবের পতন হয়েছে পৃথিবী কাঁপানো শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও সমমনা জোটগুলো। ৫ আগস্টের একটি পটভূমির মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।’

স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সাথে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদের দল এমন একটি রাজনৈতিক দল, যার সাথে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমাদের।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল, শুধুমাত্র চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পত্রিকা বন্ধ করেনি, (তবুও দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ, দিনকাল বন্ধ করেছে) কিন্তু মালিকানা দিয়েছে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদের, তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। গণমাধ্যমের মূল কাজ সত্য উদঘাটন করে নিষ্ঠাবস্তু খবর পরিবেশন করা। এটাই গণতন্ত্র। এর বাহিরে গেলে সেটা গণমাধ্যম নয়, প্রচারমাধ্যম বা স্বৈরাচারের ডাণ্ডা। প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীল বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রকে বিকাশ করতে হলে একমাত্র উপাদান হচ্ছে স্বাধীন গণমাধ্যম, আবার সেই গণমাধ্যমকে অবশ্যই সত্য বস্তনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দখল-ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন, আপনি কেন পদত্যাগ করেনি? আপনারা কাছে চাকরিটাই বড় ছিল, দেশ-রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? আমাদের দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা যেগুলো দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন।’

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনো দিন দখল করিনি। সত্যের পথে আমি অবিচল থেকেছি। সৎভাবে আমি রাজনীতি করেছি। অথচ একটি গণমাধ্যমে আমরা নামে অপ্রচার করেছে। স্বৈরাচারের দোসর আব্দুর রাজ্জাক ও নাসিম এই কৃষি ইনিস্টিটিউশনকে দখল, চাঁদাবাজির স্থান বানিয়েছিলেন।’

কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন বলেন, ‘কৃষি ইনিস্টিটিউট বিএনপি দখল করেনি, দীর্ঘ ১৭ বছর পর এটি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বিজয় অর্জন হলে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের দোসররা পালিয়ে যায়।’

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top