পাপুলের আসনে প্রার্থী হতে মরিয়া আ.লীগ নেতারা, নীরব বিএনপি
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,লক্ষ্মীপুর | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২১ ০২:১৯; আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ১৫:১০

কুয়েতে অর্থ ও মানব প্রাচারের অভিযোগে দেশটির কারাগারে আটক মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম ওরফে পাপুলের পদ শূন্য হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদরের একাংশ) আসনে উপ-নির্বাচনে ১১ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। মনোনয়নপত্র ১৮ মার্চের মধ্যে জমা দিতে হবে।
লক্ষ্মীপুর একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বিএনপি ভোটে অংশগ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে তাদেরকে বিজয় হতে দেয় না। আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় লাভ করে বলেও অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। এজন্য তারা নীরব রয়েছে এ আসনটি নিয়ে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, আমরা কজন মুজিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা এ এফ এম জসিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম এক্স শাহীন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদুল বাকীন ভূঁইয়া, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আফছারী, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম নবী নেওয়াজ করিম চৌধুরীর স্ত্রী রেশমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবুল কাশেম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিনসহ ১৬ জন।
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছি। দলীয় নেতাকর্মীরা এখন একাত্মতার মধ্যে রয়েছে।
এ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে নয়নের ভূমিকা দৃশ্যমান বলে দাবি তার।
দলের প্রতি অ্যাডভোকেট নয়নের শ্রমের কথা বিবেচনা করে এ আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর তার বিশ্বাস রয়েছেন বলেও জানান এ নেতা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নিলেও সুষ্ঠ নির্বাচন হয় না। বিএনপির এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া হয়। প্রভাব খাঁটিয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখলে নেয় বলেও তার অভিযোগ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: