ঢাকা রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২৩ ২১:০৭; আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ১৫:৩৭

 

রোববার সকালে ঢাকার বাতাসের একিউআই পৌঁছেছিল ২৭১ এ। শীতের কুয়াশায় জবুথবু ঢাকায় সূর্যের দেখা মিলতেই বাতাসের ক্ষতিটা টের পাওয়া গেল। শীতের আমেজের মধ্যে রাজধানীর বাতাসে ভারী ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে আবারও তা শীর্ষে পৌঁছেছে। দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা।

 

রোববার সকালে সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষক সংস্থা আইকিউএয়ারের শহরভিত্তিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) সবচেয়ে বাজে দশা ছিল ঢাকার বাতাসের, স্কোর ছিল ২৭১, যে মাত্রা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ’।

বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।

পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই তৈরি হয়। একিউআই নম্বর যত বাড়তে থাকে, বায়ুমান তত ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়।

একিউআই শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকার বাতাসকে ভালো বলা যায়। ৫১-১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।

একিউআই ১০১-১৫০ হলে সেই বাতাস স্পর্শকাতর শ্রেণির মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ১৫১-২০০ হলে তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয়। আর একিউআই ২০১-৩০০ হলে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ পেরিয়ে গেলে সেই বাতাসকে বিপদজনক ধরা হয়।

সকালে আইকিউএয়ারের দূষিত বায়ুর নগরের তালিকায় ঢাকার পরেই ছিল চীনের দুই শহর সেনইয়াং ও চেংডু। একিউআই ছিল যথাক্রমে ২৪৫ ও ২২৭।

তবে দুপুরের পর ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তখন সবচেয়ে দূষিত বাতাস ছিল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে, একিউআই ছিল ২৭৪। আর ঢাকার একিউআই কমে তখন হয় ২০৫, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকা তখনও তৃতীয়।

এর আগে গত অক্টোবরে ঢাকার বাতাসে কিছুটা স্বস্তিতে শ্বাস নিতে পেরেছিল নগরবাসী। অক্টোবরের এমনিতে বাতাসে ধুলোর পরিমাণ বাড়লেও দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে কয়েক দিনের ছুটি আর বৃষ্টি ঢাকার আশেপাশের এলাকায় বায়ুমানের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছিল।

তখনই শীত ও ধুলার মৌসুমে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। দুর্ভোগ কিছুটা কমাতে তদারক সংস্থাগুলোকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা।

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার রোববার বলেন, "অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বরে এমনিতেই আমাদের বায়ুর মান খারাপ থাকে।

এই মৌসুমটাই আসলে চলছে৷ এর মাঝে যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে অবস্থা আরও খারাপ হয়। ঢাকা শহরের দূষণ তো আছেই, ঢাকার আশপাশ থেকেই প্রতিনিয়ত দূষিত বায়ু শহরের ভেতর ঢুকছে। মাতুয়াইল, আমিনবাজারে যেসব জায়গায় ময়লা ফেলা হয় সেখানে আগুন লাগিয়ে পোড়ানো হচ্ছে এটাও বায়ুকে খারাপ করছে।"

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top